রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে একমাসের সময় বেঁধে দিলো সুশীল সমাজ
মাসুদ রানা রাব্বানী
আপলোড সময় :
২১-১১-২০২৪ ০১:৪৮:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২১-১১-২০২৪ ০১:৪৮:০৪ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে একমাসের সময় বেঁধে দিলো সুশীল সমাজ
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের কয়েকমাস ধরে চলা অনিয়মের প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে রাজশাহীর সুশীল সমাজ। বুধবার সকালে মহানগরীর শালবাগান বাজারে পাসপোর্ট অফিসের সামনে মানববন্ধন করে এই অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করার দাবি জানানো হয়েছে। পরে উপ- পরিচালক রোজী খন্দকারের সঙ্গে দেখা করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ঘুষ- দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে একমাসের সময় বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে নাগরিক ভোগান্তি দূর না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
জানা গেছে, অফিস সময় শুরুর আগেই বিশেষ কিছু ফাইলে সই করে দেন রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) রোজী খন্দকার। তারপর এসব ফাইলের পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ছবি তোলার কাজ শুরু হয়। সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অভিযোগ রয়েছে, দালালের মাধ্যমে যেসব ফাইল জমা হয় সেগুলোর কাজই শেষ হয় দ্রুত।
মানববন্ধনে হয়রানির অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগীরা বলেন, দালালের মাধ্যমে আসা বিশেষ ফাইলগুলো সরাসরি দোতলায় উপ-পরিচালক রোজী খন্দকারের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এসব ফাইলে সই করে দেন। তারপর দোতলাতেই সহকারী পরিচালক এসব ফাইল কম্পিউটারে এন্ট্রি করেন। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাইলগুলো নিচতলায় চলে আসে। সেখানে ছবি তুলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা বাড়ি ফিরে যান। আর যারা দালালকে অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে নিজেরাই এসে লাইনে দাঁড়ান, তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিচতলায় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েই থাকতে হয়। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
‘ভুক্তভোগী রাজশাহীর সাধারণ জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, ক্যাবের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আফজাল হোসেন, রাজশাহী ওয়েব’র সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি, নারীনেত্রী রোজিটি নাজনীন, সেলিনা বেগম প্রমুখ।
এদিকে, মানববন্ধন শেষে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এসব বিষয় নিয়ে উপ-পরিচালক রোজী খন্দকারের সঙ্গে কথা বলতে তার কক্ষে যান। এ সময় রোজী খন্দকার সব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দুর্নীতির প্রমাণ দেখাতে বলেন। এছাড়াও জোরপূর্বক অফিসে প্রবেশের অভিযোগ তুলে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ততা দেখান। এ সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়ছেন উপ- পরিচালক রোজী খন্দকার।
এ সময় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান তাঁকে হুশিয়ার করে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সব অনিয়ম- দুর্নীতি বন্ধ করে নাগরিক ভোগান্তি দূর করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স